মার্চের দিনগুলি

রচনা : বাংলাদেশের যানজট সমস্যা ও প্রতিকার

ভূমিকা : বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ আজ নানা কারণে শহরাভিমুখী। ফলে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশালসহ দেশের প্রধান প্রধান শহরগুলোতে লক্ষ লক্ষ মানুষের ক্রমবর্ধমান চাপে শহরের আজ মুমূর্ষু অবস্থা। বিশেষ করে স্থানাভাব ও যানবাহন সমস্যায় নাগরিক জীবন আজ বিপর্যস্ত। অপ্রশস্থ রাস্তাঘাট, সংখ্যাধিক্য যানবাহন, নিয়মহীন চলাচল, উপচে পড়া আগণন মানুষের ভিড়, উপরন্তু যানজট সমস্যা সব মিলিয়ে নগর জীবন আজ বিপর্যস্ত, ভয়াবহ। ফলে অতিষ্ঠ হয়েই বলতে হয়, দাও ফিরে সে অরণ্য, লও এ নগর

যানজটের কারণ : বর্তমান বিশ্ব গতিময়, যান্ত্রিক এবং প্রগতিশীল। এই গতিময় বিশ্বের প্রতিটি দেশের উন্নতি অনেকাংশে নির্ভর করছে তার সুষ্ঠু যানবাহন ব্যবস্থার ওপর। সুষ্ঠু যানবাহন ব্যবস্থা যাতায়াত ও মালামাল আনা-নেয়ার সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করে। কিন্তু বাংলাদেশে বিভিন্ন কারণে যানজট সৃষ্টি হয়ে সুষ্ঠু যোগাযোগ ব্যবস্থা তথা সামগ্রিক অগ্রযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।
স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবার পর বাংলাদেশের সড়কপথের যথেষ্ট উন্নতি সাধিত হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। বর্তমানে বাংলাদেশে ১১ হাজার কিলোমিটার পাকা রাস্তা রয়েছে যার মধ্যে মাত্র ৪০% হাইওয়ে সম্পন্ন। অপরদিকে, এ দেশে শুধু মোটরযানের সংখ্যা প্রায় ৪ লক্ষ। রিক্সা, ভ্যান, সাইকেল, ঠেলাগাড়ি, অটোরিক্সা ইত্যাদি অগণিত। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, উন্নত দেশের তুলনায় এগুলো প্রায় ৩০ গুণ বেশি। এ হিসেবে বাংলাদেশের সড়ক পথে অতিরিক্ত যানবাহন চলাচলের ফলে যানজট সৃষ্টি হওয়া স্বাভাবিক। বাংলাদেশে যানজটের প্রধান কারণ হচ্ছে অপরিকল্পিত বাড়িঘর, দোকানপাট ও রাস্তা-ঘাট নির্মাণ। দক্ষ ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ট্রাফিক পুলিশের অভাব এবং ট্রাফিক আইন যথাযথভাবে মেনে না চলাও যানজটের অন্যতম কারণ। তাছাড়া, প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে পথচারীদের জন্য প্রয়োজনীয় ফুটপাত না থাকা, অবৈধ পার্কিং, হকারদের ফুটপাত দখল, ট্রাফিক ও নিরাপত্তা আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ না থাকা দক্ষ ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চালকদের অপ্রতুলতা, সড়ক সরুকরণ ও নিম্নমানের রাস্তা, সর্বোপরি দ্রুত ও আগে যাবার জন্য ওভারটেকিং-এর অসম প্রতিযোগিতা ইত্যাদির ফলে যানজট সমস্যার সৃষ্টি হয়ে থাকে। দেশের বৃহত্তম শহরগুলোতে কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে বন্যার বেগে ছুটে আসা মানুষ আর যানবাহনের ভিড় ‘তিল ঠাঁই আর নাহিরে’ অবস্থা। অপরিকল্পিতভাবে ওয়াসা, ডেসা, গ্যাস, টেলিফোন, টেলিগ্রাফ এক রাস্তা একাধিকবার খোঁড়াখুঁড়ি করছে। ওয়ার্কশপ, গ্যারেজ, ফেরিওয়ালা, পালিশওয়ালা, তরকারিওয়ালা, মাছওয়ালা রাস্তাকে নিজ বাড়ি-ঘরের মত ব্যবহার করছে। জনসাধারণের জন্য যতটুকু রাস্তা বরাদ্দ ছিল তাও মুসাফির-ভিখারির দখলে। এছাড়া যানজটের জন্যে সরকারের সঠিক সিদ্ধান্তের অভাবসহ আরো নানাবিধ কারণ রয়েছে।

যানজটের দিক থেকে ঢাকার অবস্থা : ঢাকা মহানগরীতে আমরা যারা স্থায়ী বা অস্থায়ীভাবে বসবাস করছি, যারা বিভিন্ন প্রয়োজনে বাইরে থেকে প্রতিদিন আসা-যাওয়া করেন তারা যেসব দুর্ভোগের শিকার হন তার মধ্যে যানজট সবার শীর্ষে। যানজটের কারণে গতি থমকে থাকলেও সময় থমকে থাকে না। সময় মতো না পৌঁছার কারণে কাজের কাজ কিছুই হয় না। সার হয় আসা-যাওয়া। এ তিক্ত অভিজ্ঞতা সবার জীবনের কম-বেশি রয়েছে। দিনকে দিন প্রকট হয়ে উঠছে যানজট। দশ মিনিটের রাস্তা পেরোতে লাগে দু’ঘণ্টা। ফলে কাজে বেরুল প্রায় ক্ষেত্রেই দেখা দেয় ব্যর্থতা।

বর্তমানে সারাদেশেই কম-বেশি যানজট সমস্যা বিধ্যমান রয়েছে। তবে, রাজধানী শহর ঢাকার অবস্থা সবচেয়ে ভয়াবহ। রাজধানী ঢাকাতে যানজটের ভয়াবহতা সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেছে অনেক আগেই। সব মিলিয়ে রাজধানী এখন যানজটের নগরীতে পরিণত হয়েছে। সকাল-বিকাল-সন্ধ্যা, যখন-তখন, যেখানে-সেখানে যানজট। রাজপথ, গলিপথ, ফুটপাত কোথাও স্বস্তি নেই। সর্বত্র ভিড় আর ভিড়, যানজটের ভিড়, ভিড় মানুষের। যানজটের ভিড়ে একবার আটকে গেলে কখন তা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে তা বলা মুশকিল। এ যানজট সমস্যা আমাদের কত বড় সর্বনাশ ডেকে আনছে তা কি আমরা কখনো ভেবে দেখেছি? আমাদের অমূল্য সময় কেড়ে নিচ্ছে যানজট। যানজট আমাদের জীবনে ডেকে আনছে নানা দুর্ভোগ। ছাত্র-শিক্ষক, অফিস কর্মকর্তা-কর্মচারী, শ্রমিক, পথচারী সবাই সর্বগ্রাসী যানজটের শিকার।

এ শহরের আয়তন ৩৪৩ বর্গ কি. মি., কিন্তু লোকসংখ্যা ১ কোটিরও বেশি। ঢাকা শহরের অধিকাংশ রাস্তা অপ্রশস্ত ও সংকীর্ণ। জনসাধারণের যাতায়াতের জন্যে ২৫ শতাংশ ফুটপাত থাকার কথা, কিন্তু তা নেই। আবার যেটুকু আছে তার অধিকাংশ স্থান কলকারখানা, হোটেল, রেস্তোরাঁ ও ফেরিওয়ালাদের দখলে। এসব রাস্তায় ভাসমান দোকানপাঠ হতে শুরু করে পানের দোকান, চায়ের দোকান, কাপড়ের দোকান, ফলের দোকান, মাছের বাজার, তরকারির দোকান বসে। এ ব্যাপারে আইন-শৃঙ্কলা কমিটির সভায়, সিটি কর্পোরেশনে বারবার অভিযোগ করেও কোনো ফল পাওয়া যায় নি। ফলে যানজট লেগেই আছে। এছাড়া ঢাকা শহরের রাস্তার অনেকাংশ যত্রতত্র ট্রাকস্ট্যান্ড, বাসস্ট্যান্ড ও টেম্পোস্ট্যান্ড দখল করে রেখেছে। এর ফলে যানজট ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঢাকা শহরের এ দুর্বিষহ যানজট দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন অনেকাংশে ব্যাহত করেছে। যানটটে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে রাজধানীর অর্থনৈতিক অবস্থা। তাছাড়া যাতায়াতে যে বিঘ্ন ঘটেছে তাতে কোটি কোটি টাকার মালামাল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সবচেয়ে বেশি নষ্ট হচ্ছে কাঁচামাল।

যানযটের দিক থেকে উন্নত বিশ্বের অবস্থা : উন্নত বিশ্বে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎ, ফোন, ফ্যাক্স কাজ করে। তাতে রাস্তা খোঁড়ার প্রয়োজন হয় না। মাটির নিচে রাস্তা, রেল ব্যবস্থা, রাস্তায় ওভারব্রিজ, ডাইভারশান রোড, ক্রস রোড ইত্যাদি ব্যবস্থা থাকায় যানজটের সৃষ্টি হয় না। তাছাড়া ট্রাফিক পুলিশ এতো তৎপর থাকে যে, শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীর কঠিন শাস্তি হয়। আইনের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধাবোধ থাকায় নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সবাই চলে।

যানজটের ফল : যানজটের ফল খুবই ভযাবহ। যানজট নানাভাবে একটি দেশ ও জাতির ওপর কুপ্রভাব ফেলে। যানজটে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশের অর্থনীতি। যানজটের কারণে যাতায়াত ব্যবস্থায় যে বিঘ্ন ঘটে তাতে লক্ষ লক্ষ টাকার মালামাল নষ্ট হয়ে যায়। সবচেয়ে বেশি নষ্ট হয় কাঁচামাল। যানজটের কাণে সঠিক সময়ে নির্দিষ্ট স্থানে মালামাল পৌঁছতে পারে না বিধায় জিনিসপত্রের দাম স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যায় এবং এতে করে মানুষের অনেক ভোগান্তি হয়। এছাড়া যানজটের জন্যে যেসব ক্ষতি হয় তার কয়েকটি নিচে উল্লেখ করা হল :

১। যানজটের কারণে অফিস-আদাল, স্কুল-কলেজে ঠিক সময়ে পৌঁছা যাচ্ছে না।
২। হাসপাতালে যাওয়ার পথে যানজট লেগে থাকায় পথেই রোগীর মৃত্যু ঘটে।
৩। অনেকসময় গুরুত্বপূর্ণ কোনো সংবাদ যথাস্থানে যথাসময়ে না পৌঁছানোর ফলে বিরাট ক্ষতি হয়ে যায়।
৪। নগরীর অপ্রীতিকর ঘটনা ও জরুরি সংকটে পুলিশ, ফায়ার বিগ্রেড, এম্বুলেন্সসহ নাগরিক সুবিধা প্রদানকারী সংশ্লিষ্ট মহল প্রয়োজনীয় ত্বরিত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছে না। ফলে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত হচ্ছে না। ভেঙে পড়ছে জননিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা।
৫। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের নির্ধারিত সময়ে শিক্ষাক্রম থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ফলে শিক্ষাব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
৬। বৃথা সময় অপচয় হয়। ফলে দৈনন্দিন অনেক গুরুত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ড বাকি রেখেই পরবর্তী কর্মসূচিতে হাত দিতে হয়। ফলে অনেক ক্ষেত্রে মূল্যবান সময়টুকু জীবনের কাজে লাগানো দুষ্কর হয়ে পড়ে। এভাবে সময়ের অপচয় ঘটছে বলে জাতি হিসেবে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি।
৭। অনেক সময় যানজটের কারণে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটে।
৮। যানজটের কারণে যানবাহনে প্রয়োজনের অতিরিক্ত লক্ষ লক্ষ টাকা মূল্যমানের অতিরিক্ত জ্বালানি পোড়ানো হচ্ছে। ফলে প্রতি বছর অতিরিক্ত জ্বালানি ক্রয়ের জন্য কয়েক কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা জাতীয় কোষাগার থেকে বের হয়ে যাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জাতীয় রিজার্ভ।
৯। যানবাহনের জীবনীশক্তি হ্রাস পেয়ে গ্যারান্টি বা লাইফ পিরিয়ডের পূর্বেই সম্পদ বিনষ্ট হচ্ছে। এক্ষেত্রেও বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় হচ্ছে।
১০। যানজটের কারণে যানবাহন থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া ও গ্যাস সামগ্রিকভাবে পরিবেশকে মারাত্মকভাবে দূষিত করে তুলছে। সুস্থ স্বাস্থ্য রক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে। পাশাপাশি নগরীর মানুষ সকলের অজান্তে মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তাছাড়াও নগরীর সড়কের পার্শ্বে আবাসিক বাড়িঘরের মানুষ শব্দ দূষণের ফলে তাদের সন্তানদের লেখাপড়া বিঘ্নসহ মানসিকভাবে রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ছে। প্রতিদিনের কর্মজীবন শেষে বিশ্রামের ব্যবস্থাও অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে।

যানজট নিরসনের উপায় : গতিময় বিশ্বের সাথে আমরা পাল্লা দিতে পারব না। তবে প্রত্যেকের সদিচ্ছা থাকলে যানজটের কারণে সৃষ্ট অসুবিধাগুলো দূর করে সুষ্ঠু জীবনযাত্রা নির্বাহ করা যায়। যানজট নিরসনকল্পে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো নেওয়া যেতে পারে :
১। বাড়তি ও অবৈধ লাইসেন্সধারী রিক্সা বন্ধ করে দেওয়া এবং ক্রমান্বয়ে শহর এলাকায় রিক্সা চলাচল বন্ধ করে দেওয়া।
২। রাস্তার জঞ্জাল সরিয়ে ফুটপাত ঝামেলামুক্ত করা যায়।
৩। যানবাহনের সংখ্যা সীমিত করে সড়কভিত্তিক দোতলা বাসের সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে।
৪। অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করতে পারলে যানজট অনেকটা কমবে।
৫। আমাদের ট্রাফিক পুলিশের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। তাই, প্রয়োজনীয় সংখ্যক টাফিক পুলিশ মোতায়েন করতে হবে। ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা কঠোর হস্তে রোধ করতে হবে।
৬। রাস্তার সংস্কার করে তা প্রশস্ত করতে হবে।
৭। যেহেতু দিন দিন লোকসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে সেহেতু পূর্বের অপ্রশস্থ রাস্তার উপরে ফ্লইওভার, ওভার ব্রীজ, পাতাল সড়ক নির্মাণ করতে হবে। যদিও বর্তমানে ‍দু-এক জায়গায় ফ্লাইওভার তৈরি করা হয়েছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় শুধু কমই নয়, একে মডেল হিসেবেই ধরা যায়।
৮। নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক থেকে যানবাহন পরিচালন ব্যবস্থা প্রত্যাহারকরণ।
৯। ঢাকা মহানগরীর প্রবেশ ও প্রস্থান মুখ থেকে আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল স্থানান্তরকরণ ও নতুন টার্মিনাল নির্মাণকরণ।
১০। নগরীর সকল বাণিজ্যিক এলাকার প্রধান রাস্তার ওপর পার্কিং নিষিদ্ধকরণ।
১১। নগরীর সড়কের মোড়গুলোতে যাত্রীবাহী বাস-মিনিবাসের দৌরাত্ম বন্ধকরণ।
১২। রাস্তার পাশে দোকানপাট উচ্ছেদ করা, দোকানের সামনে ভ্যান, ঠেলাগাড়ি ইত্যাদি না রাখা। বিপনীবিতান, স্কুল-কলেজ, সিনেমা হল এসব প্রতিষ্ঠানের সামনে গাড়ি পার্কিং নিষিদ্ধ করা।

মোটকথা ব্যাপক কর্মসূচি হাতে না নিলে যানজটের মত এই জাটিল সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার কোনো উপায় নেই। মূলত যানজট সমস্যার বিষয়টি যতই জটিল সমস্যা হোক না কেন; সকলের সহিষ্ণুতা, আন্তরিকতা ও নিয়মতান্ত্রিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে এ সমস্যা কিছুটা লাঘব করা তেমন কোনো কঠিক কাজ নয়। কঠিন হচ্ছে-আন্তরিকতার সঙ্গে সকলকে এ সমস্যা সমাধানে উদ্বুদ্ধ করা। তবে দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থ রক্ষার সংকল্প নিয়ে সকলে এগিয়ে এলে যানজট নিরসন সম্ভব।

উপসংহার : যানজট সমস্যা আমাদের নিশ্চিত জীবন যাপনের ক্ষেত্রে একটা বিড়ম্বনা স্বরূপ। এই সমস্যার ভয়াবহতা বৃদ্ধির জন্যে সরকার থেকে শুরু করে আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সবাই খুব চিন্তিত। তাই যত তাড়াতাড়ি যানজট সমস্যার সমাধান করা যায় জাতির জন্যে ততই মঙ্গল।

1 Comments

Post a Comment
Previous Post Next Post