প্রতিবেদন : ‘মহান বিজয় দিবস’ উদ্‌যাপন সম্পর্কিত (পত্রিকার জন্য)

মনে করো তুমি একটি দৈনিক পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক, 'মহান বিজয় দিবস' উদ্‌যাপন সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন রচনা করো।


যশোরে মহান বিজয় দিবস উদ্‌যাপন


নিজস্ব সংবাদদাতা : যশোর : মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে যশোর প্রেসক্লাব যথাযথ মর্যাদায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উদ্‌যাপন করে। এ উপলক্ষে আলোচনা সভা, স্বরচিত কবিতা পাঠের আসর, রচনা প্রতিযোগিতা, আবৃত্তি প্রতিযোগিতা ও সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

জেলা প্রশাসক ও ক্লাব সভাপতির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দীন। আলোচনায় অংশ নেন অধ্যাপক আবুল কাশেম ও কবি দাউদ হাসান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন।

মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, আমাদের জাতীয় জীবনে সবচেয়ে বড় অর্জন ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বিজয় লাভ।

দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ শেষে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বর্বর পাকিস্তানিদের পরাজিত করে এ দিনটিতে আমরা বিজয় অর্জন করি। আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ হয়েছিল হানাদারমুক্ত। আমরা পেয়েছি স্বাধীন সার্বভৌম একটি দেশ, একটি নিজস্ব মানচিত্র ও পতাকা। তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বিজয়ের গৌরব নিয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে আমাদের কাজ করে যেতে হবে।

অধ্যাপক আবুল কাশেম বলেন- স্বাধীনতা যুদ্ধে বিজয় যে কোনো মুক্তি পাগল মানুষের জন্য অমূল্য সম্পদ। আমাদের জাতীয় চেতনায় বিজয় দিবস অফুরান প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।

কবি দাউদ হাসান বলেন, রক্ত নদীর উজান বেয়ে আমরা স্বাধীনতার মাধ্যমে এদেশের মানুষ বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার ঠিকানা পেয়েছি। এ বিজয়ের গৌরব ও আনন্দ অম্লান হয়ে থাকবে চিরদিন।

সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন- মরণযজ্ঞের মধ্য দিয়ে এদেশের মুক্তিকামী মানুষ পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে গড়ে তুলেছিল প্রতিরোধ আন্দোলন, পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকদের বর্বরতা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকে হার মানিয়েছিল। 

আলোচনা সভা শেষে মুকিযুদ্ধে শহীদদের পরিবার ও মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয়া। রচনা ও আবৃত্তি প্রতিযোগিদের পুরষ্কার প্রদান করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post