মার্চের দিনগুলি

অনুচ্ছেদ : অভিধান

অভিধান


অভিধান অর্থ শব্দকোষ বা শব্দ ভান্ডার। যে বইতে অনেক শব্দের শৃঙ্খল সংযোজন করা থাকে তাকে অভিধান বলে অভিধানে বর্ণক্রম অনুসারে শব্দগুলোকে সাজানো হয়। অভিধান বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। কোন অভিধানে শব্দের অর্থ দেয়া থাকে, কোনোটিতে উচ্চারণ আবার কোনটিতে ব্যবহারিক অভিধান হিসেবে পরিচিত। এছাড়া আঞ্চলিক ভাষার অভিধান রয়েছে। রয়েছে চরিতাভিধানও। আরেক ধরনের অভিধান খুবই গুরুত্বপূর্ণ তা হচ্ছে অনুবাদ অভিধান। এক ভাষার শব্দকে আরেক ভাষায় রূপান্তর। যেমন: বাংলা থেকে ইংরেজি, আরবি থেকে বাংলা, ইংরেজি থেকে বাংলা ইত্যাদি। অভিধাম যে রকমই হোক না কেন এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষের প্রয়োজনীয় শব্দ লিপিবদ্ধ করা, যাতে যে কেউ তার কাঙ্ক্ষিত শব্দটি খুঁজে পাই। বানান বা উচ্চারণ নিয়ে প্রায় তর্ক বিতর্ক বা সমস্যার সসম্মুখীন হতে দেখা যায় অনেককে। বিতর্কের অবসান ঘটাতে অভিধানের বিকল্প নেই। কারণ অনেক গবেষণা করে ভাষা সম্পর্কে বিজ্ঞজনরা সঠিল শব্দটিই অভিধানে অন্তর্ভুক্ত করেন। বহু বিজ্ঞজন ও করি সাহিত্যিকদের সম্মিলিত মতামত, দীর্ঘকালীন চর্চা ও সিদ্ধান্তের ফসল হচ্ছে অভিধান। অভিধান ছাত্র-ছাত্রী, কবি-সাহিত্যিকসহ অনুসন্ধিৎসু সকল মানুষের কাজে আসে। তাই প্রত্যেক ভাষার জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ অভিধান থাকা জরুরিম একজন মানুষ কখনও একটি ভাষার সকল শব্দ মাথায় ধারণ করতে পারে না। তাছাড়া ভাষা বা শব্দ প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হতে থাকে। তাই ভাষা বা শব্দের মৌলিকত্বের জন্য অভিধান আবশ্যক প্রত্যেক শিক্ষিত মানুষের কাছে তার ভাষার অভিধান থাকা জরুরি।

1 Comments

Post a Comment
Previous Post Next Post