সাধারণ জ্ঞান : বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় [ বনফুল ]

বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়
[ বনফুল ]

বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় কোথায় জন্মগ্রহণ করেন? — মণিহারপুর, পূর্ণিয়া, বিহার।

তাঁর জন্ম তারিখ কত? — ১৯ শে জুলাই, ১৮৯৯। 

তিনি মূলত কী ছিলেন? — কথাসাহিত্যিক। 

তাঁর আদিনিবাস কোথায়? — শিয়াখাল, হুগলি। 

তাঁর সাহিত্যিক ছদ্মনাম কী? — বনফুল। 

তিনি কোন ধরনের সাহিত্য রচনা করে সাহিত্য জগতে পা রাখেন? — 'শনিবারের চিঠি'তে ব্যঙ্গ কবিতা ও প্যারডি লিখে। 

তিনি কিভাবে খ্যাতি অর্জন করেন? —  'প্রবাসী' পত্রিকায় প্রকাশিত 'একপাতা–আধপাতা' গল্প লিখে। 

তিনি কী ধরনের সাহিত্য রচনা করতেন? — গল্প এবং উপন্যাস। 

তাঁর রচিত গল্প ও উপন্যাসে কী কী বিষয় গভীরভাবে ফুটে উঠতো? — বাস্তব জীবন ও জ্ঞান–বিজ্ঞানের বিচিত্র উপাদান। 

তাঁর রচিত গল্পগ্রন্থের নামসমূহ উল্লেখ কর। — 'বনফুলের গল্প' (১৯৩৬), 'বনফুলের আরো গল্প' (১৯৩৮), 'বাহুল্য' (১৯৪৩), 'বিন্দু বিসর্গ' (১৯৪৪), 'অনুগামিনী' (১৯৪৭), 'ঊর্মিমালা' (১৯৫৫), 'সপ্তমী' (১৯৬০), 'দূরবীণ' (১৯৬১)। 

তাঁর রচিত উপন্যাস সমূহের পরিচয় দাও। — 'অগ্নি' (১৩৩৯), 'তৃণখণ্ড' (১৩৪২), 'বৈতরণী তীরে' (১৩৪৩), 'কিছুক্ষণ' (১৩৪৪), 'দ্বৈরথ' (১৩৪৪), 'নির্মোক' (১৩৪৭), 'সে ও আমি' (১৩৫০), 'জঙ্গম' (১৩৫০), 'নবদিগন্ত' (১৩৫৬), 'স্থাবর' (১৩৫৮), 'পঞ্চপর্ব' (১৩৬১), 'লক্ষ্মীর আগমন' (১৩৬১)। 

'অগ্নি' উপন্যাসের পরিচয় দাও। — ভারতে ১৯৪২ সালের অগস্ট আন্দোলনের পটভূমিতে রচিত এবং বনফুলের এই রাজনৈতিক উপন্যাসটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত হয়। উক্ত আন্দোলনের নেতা অংশুমান যে উপন্যাসের নায়ক, যাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয় ইংরেজ ডেপুটিকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে। অন্য চরিত্রগুলোর মধ্যে নীহার, তার স্ত্রী অন্তরা অন্যতম। নীহার কম্যুনিস্ট মতবাদী হয়েও ক্যাপিটালিস্ট সরকারের অধীনে চাকরী করে, এমনকি আন্দোলনকে স্তিমিত করার জন্য গ্রামে গ্রামে তার তৎপরতা প্রদর্শন করে, লাভ করে রায় সাহেব উপাধি। এতে তার স্ত্রী ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে। তার এই অনুভূতি সে তার প্রাক্তন কমরেড মীনা দত্তকে সে অবগত করে। এর মধ্যেই অংশুমানোর সাথে তার পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তার ফাঁসির আদেশ হয়, অপরাধ ট্রেন থেকে ফেলে পুলিশ অফিসারকে খুন করা। বনফুল ছিলেন গান্ধীর অহিংস আন্দোলনের সমর্থক। এই উপন্যাস রচনা করে তিনি প্রকারান্তরে কমিউনিস্টদের সমালোচনা করেছেন। 

বনফুল রচিত কাব্যগ্রন্থসমূহের পরিচয় দাও। — 'বনফুলের কবিতা' (১৯২৯), 'ব্যঙ্গ কবিতা' (১৯২৯), 'অঙ্গারপনী' (১৩৪০), 'চতুর্দশী' (১৯৪৭), 'করকমলেষু' (১৯৪৯) ইত্যাদি। 

তিনি কী রচনার জন্য পথিকৃৎ ছিলেন? — জীবনীনাটক রচনার জন্য। 

বনফুল রচিত জীবনীনাটগুলোর নাম কী? — 'শ্রীমধুসূদন' (১৯৩৯), 'বিদ্যাসাগর' (১৯৪২)। 
 
তিনি তার রচনার জন্যে কী উপাধিতে ভূষিত হন? — পদ্মভূষণ। 

তিনি কত তারিখে কোথায় মৃত্যুবরণ করেন? — ৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৯ ; কলকাতায়। 

"নিমগাছ" থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য— 
'চর্মরোগের অব্যর্থ মহৌষধ কোনটি? — নিমগাছের ছাল ও পাতা। 

নিমগাছের কচিপাতা কী কাজে লাগে? — নিমগাছের কচি পাতা অনেকে কাঁচা খায়, কেউ বেগুন সহযোগে ভেজে খায় যা যকৃতের পক্ষে বেশ ভাল। 
 
নিমগাছের কচি ডাল কী কাজে লাগে? — নিমগাছের কচি ডাল অনেকে চিবোয়, দাঁত ভাল থাকে। 

নিম গাছের প্রশংসায় কারা পঞ্চমুখ? — কবিরাজরা প্রশংসায় পঞ্চমুখ। 

নিম গাছ বাড়ীর পাশে জন্মালে কারা খুশী হয়? — বিজ্ঞরা খুশি হন৷ 

কে নিম গাছের দিকে মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে থাকলো? — একজন কবি। 

কে খানিকক্ষণ থেকে চলে গেল? — একজন কবি৷ 

নিমগাছের কী ইচ্ছা করতে লাগল? — কবির সাথে চলে যেতে। 

কবিরাজ কারা? — যারা গাছগাছালি পরিশোধন করে মনুষ্যরোগের চিকিৎসা করে থাকেন। 

'নিমগাছ' কী ধরনের গল্প? — প্রতীকী গল্প। 

'নিমগাছ' গল্পটি কোন গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে? — বনফুলের 'অদৃশ্যলোক' নামক গ্রন্থ থেকে। 

নিমগাছকে কার সাথে তুলনা করা হয়েছে? — একজন গৃহকর্ম–নিপুণা লক্ষ্মী বউয়ের সাথে।

1 تعليقات

  1. অদৃশ্যলোক কোন ধরনের রচনা?

    ردحذف
إرسال تعليق
أحدث أقدم