মার্চের দিনগুলি

প্রতিবেদন : বিদ্যুৎ বিভ্রাট বা লোডশেডিং বিষয়ক

বিদ্যুৎ বিভ্রাট বা লোডশেডিং বিষয়ক প্রতিবেদন রচনা করো।


বিদ্যুৎ এখন যায় না, বিদ্যুৎ আসে


স্টাফ রিপোর্টার : লোডশেডিং ঢাকা শহরের নৈমিত্তিক ঘটনা। কিন্তু বর্তমানে গরম যত বাড়ছে, ছোটবড় সবার অবস্থাই তত খারাপের দিকে গড়াচ্ছে। উষ্ণতার আধিক্যে বিদ্যুতের সমস্যাটিও ততই তীব্রতর হয়ে উঠেছে রাজধানী ঢাকা শহরে। বিদ্যুৎ সার্বক্ষণিক প্রয়োজনীয় একটি জিনিস। রাতে শুধু ইলেকট্রিক বাতি জ্বলবে, বিদ্যুতের এটাই একমাত্র প্রয়োজনীয়তা নয়। দিনে বা রাতে যে কোনো সময়ই হোক বিদ্যুতের অনুপস্থিতি আধুনিক জীবনে হাজারো সংকট ও সমস্যার সৃষ্টি করে। রাষ্ট্রীয়, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক -সকল ক্ষেত্রেই প্রতিটি মুহুর্তে বিদ্যুতের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। আমাদের প্রতি মুহূর্তের কার্যক্রম, ব্যবসা বাণিজ্যসহ সকল ক্ষেত্রে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পথে অর্থাৎ উন্নয়নের পথেও বিদ্যুৎ ছাড়া এক পা অগ্রসর হওয়া সম্ভব নয়।

আধুনিক জীবনের জন্যে সর্বাধিক প্রয়োজনীয় এই বিদ্যুতের সমস্যা আমাদের দেশে প্রকট। এখনো সকলের চাহিদামাফিক বিদ্যুৎ সরবরাহ সুনিশ্চিত করা যায় নি রাষ্ট্রীয়ভাবে। এ সমস্যাটি এখনো জনজীবনে সৃষ্টি করছে নানা ধরনের সমস্যা ও দুর্ভোগ। অনেক এলাকায় লোডশেডিং চলছে দিনে এবং রাতে, অর্থাৎ দু’বেলাতেই। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে জনজীবনে নানা সমস্যা ও দুর্ভোগ। ছাত্রছাত্রীদের পড়ালেখার ব্যাঘাত ঘটছে। বিদ্যুৎ না থাকলে পানি সরবরাহের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। লো-ভোল্টেজ, বিভ্রাট, লোডশেডিং ইত্যাদি প্রায় প্রতিদিনের ব্যাপার। ফলে কোথাও বাতি জ্বলছে না; ফ্রিজ ফ্যান, এসি চলছে না; লিফট বন্ধ; যন্ত্রপাতি চলছে না। বিশেষত কলকারখানার উৎপাদন বন্ধ হচ্ছে, কোথাও হাসপাতালের চিকিৎসার ব্যাঘাত ঘটছে। সাম্প্রতিক বিজিএমইএ’র এক বিবরণে জানা যায়, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে তৈরি পোশাক খাতেই প্রতিদিন প্রায় ১৬ লাখ ডলার আর্থিক ক্ষতির শিকার হতে হচ্ছে দেশকে। এই হিসেবে বছরে এ ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৫০০ কোটি টাকা।

ইতোমধ্যে বিদ্যুতের সমস্যা নিয়ে লেখালেখিও কম হয় নি। কিন্তু এক্ষেত্রে পরিস্থিতির তেমন কোনো উন্নতি হয় নি। এ সংকটের পেছনে এ সংস্থাটির এক শ্রেণির কর্মীদের চরম দুর্নীতির ব্যাপারও কম দায়ী নয়। দৈনিক জনকণ্ঠে কিছুদিন আগে এ ব্যাপারে প্রকাশিত এক রিপোর্ট বলা হয়েছে, ডেসা-র একশ্রেণির কর্মীদের সহায়তার চলছে বিদ্যুৎ চুরির মহোৎসব। দুর্নীতিবাজ কর্মী ও গ্রাহকের যোগসাজশে মাসে অন্তত ৬ কোটি ইউনিট বা গড়পড়তা ১৫ কোটি টাকার বিদ্যুৎ চুরি হচ্ছে। বিদ্যুতের অভাবে যেখানে মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে, সেখানে এ ধরনের চুরিকে প্রশ্রয় দেয়া কোনোভাবে মেনে নেয়া যায় না। তেমনি এ ব্যাপারে সরকারেরও উচিত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা। দেশের উন্নতির স্বার্থে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

4 تعليقات

  1. ভালো লিখেছেন।।

    ردحذف
  2. best website in google . I give this web,, 1000000000 star
    thank you
    ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,..............................................................................................................................................................,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,..,,,.,m,..,.,.,

    ردحذف
إرسال تعليق
أحدث أقدم